আমের মুকুল ঝরে যাওয়ার নানাবিধ কারন হতে পারে তার মধ্যে প্রধান দুটি কারন হলো পুষ্টির অভাব ও দ্বিতীয়টি হলো রোগ/ পোকার আক্রমনপুষ্টির অভাব জনিত মুকুল ঝরে যাওয়া কমাতেঃবছরে দুবার সুষমমাত্রায় গাছের বয়স ভেদে সার প্রয়োগ করতে হবে। বর্ষার পূর্বে একবার এবং বর্ষার পরে আরেকবার।সার সমূহঃ(৫ বছর বা তার নিচের বয়সে)জৈব সারঃ ১০ কেজিইউরিয়াঃ ৩০০ গ্রামটিএসপিঃ ২৫০ গ্রামএমওপিঃ২৫০ গ্রামজিপসামঃ ২০০ গ্রামবোরন সারঃ২৫ গ্রামসার সমূহ রিং করে তার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে এবং সার প্রয়োগের পরে সেচ প্রদান করতে হবে।হপার পোকার আক্রমন হলে মুকুল ঝরে যেতে পারে সেজন্য আগাম সতর্কতা নিলে মুকুল ঝরা কমানো সম্ভবসেজন্য তিন ধাপে নিন্মোক্ত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক (যেমনঃ রিপকর্ড) কার্বোন্ডাজিম/ প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমনঃ ডাইথেম এম ৪৫)প্রয়োগ করতে হবে। ধাপ ১ঃ মুকুল আসার পূর্বে গাছেরর গোড়া থেকে পাতা পর্যন্ত ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে উপরোক্ত দুটি ঔষধ একত্রে মিশিয়েধাপ ২ঃ মুকুল আসবে কিন্তু ফুল ফুটবে না এমন অবস্থায় আরেকবার স্প্রে করতে হবে।ধাপ ৩ঃ আমের গুটি মটর দানার মত হলে শেষবারের মত স্প্রে করতে হবে।
আমগাছে মুকুল আসার সময় হপার পোকা কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। এ ছাড়া রস চোষার সময় পোকা আঠালো পদার্থ নিঃসৃত করে। এতে ফুলে পরাগরেণু আটকে পরাগায়নে বিঘ্ন ঘটে। এ পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড বা সিমবুস ও টিল্ট আগের নিয়মে স্প্রে করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ ফুল এবং বর্ধিষ্ণু ভ্রুণের পুষ্টিহীনতা দূর করার জন্য মুকুল ধরার ১৫ দিন আগে উপরিউক্ত নিয়মে সার প্রয়োগ করতে হবে। একই ডালে অনেক ফল ধরলে পুষ্টির জন্য ফলগুলো প্রতিযোগিতা করে বলে ফল ঝরে যায়। অতিরিক্ত ফল পাতলা করে দিতে হবে। হরমোন ও রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করলেও আমের মুকুল ও কচি আম ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করা যায়। যেমন- আমের মুকুল গুটি বাঁধার দুই সপ্তাহ পর ২০ পিপিএম মাত্রায় ২৪-ডি স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। আমের গুটি মসুর দানার মত বড় হলে ১০ লিটার পানিতে দুই থেকে তিন মিলিলিটার প্লানোফিক্স স্প্রে করলে ফল ঝরা বন্ধ হয়।
উত্তর সমূহ
মুকুলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ও কার্বোন্ডাজিম/ প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
আমের মুকুল ঝরে যাওয়ার নানাবিধ কারন হতে পারে তার মধ্যে প্রধান দুটি কারন হলো পুষ্টির অভাব ও দ্বিতীয়টি হলো রোগ/ পোকার আক্রমনপুষ্টির অভাব জনিত মুকুল ঝরে যাওয়া কমাতেঃবছরে দুবার সুষমমাত্রায় গাছের বয়স ভেদে সার প্রয়োগ করতে হবে। বর্ষার পূর্বে একবার এবং বর্ষার পরে আরেকবার।সার সমূহঃ(৫ বছর বা তার নিচের বয়সে)জৈব সারঃ ১০ কেজিইউরিয়াঃ ৩০০ গ্রামটিএসপিঃ ২৫০ গ্রামএমওপিঃ২৫০ গ্রামজিপসামঃ ২০০ গ্রামবোরন সারঃ২৫ গ্রামসার সমূহ রিং করে তার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে এবং সার প্রয়োগের পরে সেচ প্রদান করতে হবে।হপার পোকার আক্রমন হলে মুকুল ঝরে যেতে পারে সেজন্য আগাম সতর্কতা নিলে মুকুল ঝরা কমানো সম্ভবসেজন্য তিন ধাপে নিন্মোক্ত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক (যেমনঃ রিপকর্ড) কার্বোন্ডাজিম/ প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমনঃ ডাইথেম এম ৪৫)প্রয়োগ করতে হবে। ধাপ ১ঃ মুকুল আসার পূর্বে গাছেরর গোড়া থেকে পাতা পর্যন্ত ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে উপরোক্ত দুটি ঔষধ একত্রে মিশিয়েধাপ ২ঃ মুকুল আসবে কিন্তু ফুল ফুটবে না এমন অবস্থায় আরেকবার স্প্রে করতে হবে।ধাপ ৩ঃ আমের গুটি মটর দানার মত হলে শেষবারের মত স্প্রে করতে হবে।
আমগাছে মুকুল আসার সময় হপার পোকা কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। এ ছাড়া রস চোষার সময় পোকা আঠালো পদার্থ নিঃসৃত করে। এতে ফুলে পরাগরেণু আটকে পরাগায়নে বিঘ্ন ঘটে। এ পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড বা সিমবুস ও টিল্ট আগের নিয়মে স্প্রে করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ ফুল এবং বর্ধিষ্ণু ভ্রুণের পুষ্টিহীনতা দূর করার জন্য মুকুল ধরার ১৫ দিন আগে উপরিউক্ত নিয়মে সার প্রয়োগ করতে হবে। একই ডালে অনেক ফল ধরলে পুষ্টির জন্য ফলগুলো প্রতিযোগিতা করে বলে ফল ঝরে যায়। অতিরিক্ত ফল পাতলা করে দিতে হবে। হরমোন ও রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করলেও আমের মুকুল ও কচি আম ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করা যায়। যেমন- আমের মুকুল গুটি বাঁধার দুই সপ্তাহ পর ২০ পিপিএম মাত্রায় ২৪-ডি স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। আমের গুটি মসুর দানার মত বড় হলে ১০ লিটার পানিতে দুই থেকে তিন মিলিলিটার প্লানোফিক্স স্প্রে করলে ফল ঝরা বন্ধ হয়।